ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ | বৈশাখ ৬ ১৪৩১
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪       
banner

ফের আইসোলেশনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১০:২৬, ১৬ নভেম্বর ২০২০

ফের আইসোলেশনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

বরিস জনসন। ফাইল ছবি

এর আগে একবার করোনার ধকল কাটিয়ে ওঠার পর আবারও সেলফ আইসোলেশনে গেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সম্প্রতি কোভিড-১৯ আক্রান্ত এক এমপির সংস্পর্শে আসার পর তিনি আইসোলেশনে যান। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার অ্যাশফিল্ডের এমপি লি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ৩৫ মিনিট সময় কাটিয়েছেন জনসন। লি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এ খবর শুনে স্বেচ্ছা আইসোলেশনে যান জনসন।

জনসন জানিয়েছেন, তিনি এনএইচএস (কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা) টেস্ট করিয়েছেন। তবে তার দেহে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি।

করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষ ঘোষণা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বরিস জনসন। আগামী কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করার কথা। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী জনসনকে সেলফ আইসোলেশনে যেতে হলো।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর ১০নং ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যে কি ধরনের বিধিনিষেধ জারি হবে, সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন জনসন। সেটি তার স্বেচ্ছা আইসোলেশনে যাওয়ার আগেই ঘোষণা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। 

কোভিড-১৯ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল জনসনের। এ ছাড়া চ্যান্সেলর রিশি সুনাকের সঙ্গেও তার কাজ করার কথা। ডাউনিং স্ট্রিক করোনা জোন হিসেবে প্রমাণ হওয়ার পর আবারও একই ঝুঁকিতে পড়ল।

স্থানীয় সময় রোববার রাতে এক টুইটবার্তায় জনসন বলেন, ‘আজ রাতে আমি এনএইচএস টেস্ট করিয়েছি। সুতরাং আমাকে অবশ্যই স্বেচ্ছা আইসোলেশনে থাকতে হবে। কারণ ইতিমধ্যে আমি এমন একজনের সংস্পর্শে ছিলাম, যার কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে।'

তিনি আরও বলেন, আমার দেহে করোনার কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি। তবে আমি সব ধরনের বিধিনিষেধ অনুসরণ করছি। সরকারের মহামারীবিষয়ক সংস্থার প্রধান হিসেবে আমি এখনও দায়িত্ব পালন করে যাব।

ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী জনসন এখন ভালো আছেন এবং তার দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রিটেনে ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৩১৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর এই মহামারীতে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৫১ হাজার ৯৩৪ জনের।

বঙ্গবাণী/এমএস

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত