ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ | বৈশাখ ১২ ১৪৩১
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪       
banner

প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা দাম নির্ধারণ করেছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ১৪ অক্টোবর ২০২০

প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা দাম নির্ধারণ করেছে সরকার

ফাইল ছবি

বেশ কয়েকদিন ধরে দেশের বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে প্রতি কেজি আলুর দাম নিয়ে নৈরাজ্য দেখা দেয়। এসব নৈরাজ্য ঠেকাতে এবার হিমাগার ও খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। বুধবার সকালে দাম নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।

জানা গেছে, খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি ও হিমাগার পর্যায়ে ২৩ টাকা কেজি দরে আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। যা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে এতোদিন বিক্রি করছিলো অসাধু সিন্ডিকেট।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গত আলুর মৌসুমে প্রায় ১ দশমিক ৯ কোটি মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশে মোট আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ দশমিক ৯ লাখ মেট্রিক টন। এতে দেখা যায়, গত বছর উৎপাদিত মোট আলু থেকে প্রায় ৩১ দশমিক ৯১ লাখ মেট্রিক টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। কিছু পরিমাণ আলু রফতানি হলেও ঘাটতির আশঙ্কা নেই।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে একজন চাষির প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে আট  টাকা ৩২ পয়সা। আর আলুর মৌসুমে যখন হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে তখন প্রতি কেজি আলুর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৪ টাকা। প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া বাবদ ৩ দশমিক ৩৬ টাকা, বাছাই খরচ শূন্য দশমিক ৪৬ টাকা ও ওয়েট লস শূন্য দশমিক ৮৮ টাকা, মূলধন সুদ ও অনান্য খরচ বাবদ ব্যয় হয় দুই টাকা। অর্থাৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে অন্য খরচ ধরে এক কেজি আলু হিমাগার পর্যন্ত সংরক্ষণে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ২১ টাকা।

এক্ষেত্রে হিমাগার পর্যায়ে বিক্রিমূল্যের ওপর ২-৫ শতাংশ লভ্যাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৪-৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ১০-১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ধরে হিমাগারের আলুর দাম ২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আলু সংরক্ষণকারীর লাভ হয় কেজিপ্রতি দুই টাকা।

অন্যদিকে আড়তদারি, খাজনা ও লেবার খরচ বাবদ ৭৬ পয়সা খরচ হয়। সেক্ষেত্রে পাইকারি পর্যায়ে দাম পড়ে ২৩ দশমিক ৭৬ টাকা। এর সঙ্গে মুনাফা ধরে ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ভোক্তা পর্যায়ে সেটা ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা অযৌক্তিক। কোনোক্রমেই তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং খুচরা বা ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে গত ১১ সেপ্টেম্বর সারাদেশের হিমাগার মালিকদের কাছে বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বাজারে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও হিমাগারে সংরক্ষণকারী কৃষক, ব্যাপারী ও ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় আলু ছাড়ছেন না। কোনো কোনো অঞ্চলে হিমাগার থেকে ধীরগতিতে আলু সরবরাহ হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা সাধারণের সুবিধার্থে হিমাগার থেকে প্রয়োজনীয় আলু সরবরাহ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হলো।

এছাড়া সবজিটি মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার বিষয়ে বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করেছে হিমাগার মালিকদের।

বঙ্গবাণী/এমএস