ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ | বৈশাখ ৬ ১৪৩১
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪       
banner

পাট শিল্প রক্ষায় সাত সমস্যা চিহ্নিত করেছে বিজেএসএ টাস্কফোর্স

নিজস্ব প্রতিবেদক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ১৫ অক্টোবর ২০২০

পাট শিল্প রক্ষায় সাত সমস্যা চিহ্নিত করেছে বিজেএসএ টাস্কফোর্স

ছবি: বঙ্গবাণী

অবৈধ মজুদদারদের কারসাজিতে বাজারে কাঁচা পাটের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন টাস্কফোর্স সংক্ষেপে বিজেএসএ। পাট শিল্পকে রক্ষার জন্য তারা সাতটি সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের জোর দাবি জানিয়েছেন।

বিজেএসএ টাস্কফোর্স চিহ্নিত এসব সমস্যা হলো- লাইসেন্সবিহীন অবৈধ মজুদদার, সরকারী আইন মোতাবেক ১হাজার মণ পাটের বেশি কাঁচা পাট মজুদ রাখার অনুমতি না থাকা সত্বেও অবৈধ মধ্যস্বত্তাভোগী কর্তৃক পাট মজুদ, ভরা মৌসুমে হাটে পাটের পর্যাপ্ত আমদানি না থাকা, অতিরিক্ত দামে পাটকলগুলোর পাট ক্রয় করতে বাধ্য হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে পাট পণ্যের হুমকি সৃষ্টি, পাট সুতার মূল্য বেড়ে যাওয়ায় পাট সুতার বৃহত্তম বাজার তুরস্কে পাট সুতার বিকল্প কৃত্রিম ফাইবারের সুতা ব্যবহার শুরু হওয়া, বাধ্যতামুলক পণ্য মোড়কীকরণের আইন যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় স্থানীয় বাজারে পাট পণ্যের চাহিদা হৃাস পাওয়া এবং পাট অধিদপ্তর কর্তৃক কাঁচা পাট মোকাম কিংবা বাজারে মনিটরিং না থাকায় বাজারে বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়া।

পাটের ব্রান্ডিং জেলা ফরিদপুরে এবিষয়ে আলোচনা সভাও করেছে বিজেএসএ এর টাস্কফোর্স। ফরিদপুরের সার্কিট হাউসে গত সোমবার অনুষ্ঠিত এ সভায় বিজেএসএ টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক শেখ আফিলউদ্দিন এমপি, জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন (জেএসএ) এর সহ-সভাপতি ফারিয়ান ইউসুফ, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) এর চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী ও বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ) এর চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে তারা জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নিকট একটি লিখিত বিবৃতি প্রদান করেন।

এব্যাপারে জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন (জেএসএ) এর সহ-সভাপতি ফারিয়ান ইউসুফ বলেন, পাট শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উৎপাদন থেকে শুরু করে রফতানি পর্যন্ত প্রায় চার কোটি কৃষক ও শ্রমিক জড়িত। কিন্তু কাঁচা পাটের দাম সবকালের রেকর্ড অতিক্রম করায় ইতিমধ্যে অনেক পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরো কিছু পাটকল বন্ধ হওয়ার পথে। 

তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে দেশে কাঁচা পাটের উৎপাদন কম হওয়ায় এবং মজুদদারদের কর্তৃক অবৈধভাবে মজুদ করায় বাজারে পাটের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে পাটের সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাট ও পাট পণ্য রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। 

বঙ্গবাণী/এমএস