ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ | বৈশাখ ১৫ ১৪৩১
ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪       
banner

ধান উৎপাদনে নতুন রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

ধান উৎপাদনে নতুন রেকর্ড

ধান। ছবি-সংগৃহীত

দেশে টানা ষষ্ঠবারের মতো ধান উৎপাদন বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে দুই কোটি সাত লাখ টন ধান উৎপাদিত হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় তিন শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সম্প্রতি আরো জানায়, দেশে মোট চাল উৎপাদন দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বেড়ে তিন কোটি ৯১ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, সাত বছর আগে বাংলাদেশে চালের মোট উৎপাদন ছিল তিন কোটি ৩৮ লাখ টন। এরপর ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে ফসল উৎপাদন সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের মোট ধানি জমির ৮১ শতাংশে উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ হচ্ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে তা ছিল ৭৩ শতাংশ। অন্যদিকে উচ্চ ফলনশীল ও স্থানীয় জাতের তুলনায় বেশি ফলন দেওয়া হাইব্রিড ধানের চাষ ২০০৯-১০ অর্থবছরের ছয় শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিআরআরআই) সাবেক মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, দেশে আধুনিক সরঞ্জাম ও উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজের ব্যবহার বেড়েছে। এর ফলে কৃষকরা আরো ভালোভাবে খেত প্রস্তুত করতে পারছেন। এছাড়া সরকার ভর্তুকি দেওয়ায় সার ব্যবহার সুষম হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকরা পরিবারের সারা বছরের খাবার নিশ্চিতসহ বাড়তি উপার্জনের আশায় ফসল উৎপাদনে আরো যত্নবান হয়েছেন।

এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করেছিল, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) গত ১ জুলাই থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত চাল আমদানি করা হয়নি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষিতে সরকারের মনোযোগের কারণে চালের উৎপাদন বেড়েছে। দেশে ডলার ঘাটতির কারণে রিজার্ভ যখন চাপে আছে তখন ফলন বেশি হওয়ায় চাল আমদানির প্রয়োজনীয়তা কমেছে। আমদানি বাড়লে চালের দামও বেড়ে যেত। এতে দরিদ্র মানুষের ওপর বাড়তি চাপ পড়তো।  

বঙ্গবাণীডটকম/এমএস