তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৬শ ছাড়িয়ে
প্রকাশিত: ১৯:২৩, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ছবি-সংগৃহীত
গতরাতের শেষ দিকে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৬শ’ ছাড়িয়েছে। তুরস্কে ৯১২ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সিরিয়ায় নিহত ৭ শতাধিক। আহত পাঁচ হাজারের বেশি। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন অনেকে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রাণহানি আরেও অনেক বাড়তে পারে। স্থানীয় সময় ভোররাতে অনুভূত হয় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার কম্পন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বিস্তীর্ণ জনপদ। বিপুল এ প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ ও শোক জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। সূত্র- দ্য গার্ডিয়ান।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের আলো না ফুটতেই সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে ছড়ায় আতঙ্ক। জোরালো কম্পনে ধসে পড়ে সুউচ্চ দালানকোঠা। ঘুমের মধ্যেই ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েন বহু মানুষ। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পনটি অনুভূত হয়। যার স্থায়িত্ব ছিল ৪৫ সেকেন্ডের মতো। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের সীমান্তবর্তী শহর গাজিয়ানতেপ। এর উৎপত্তি ছিল ভূ-ভাগ থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, এখনও কয়েক হাজার মানুষ ভাঙা ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়ে আছে। আমার বন্ধুর মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু, পরিবারের বাকি সদস্যরা নিখোঁজ। আতঙ্ক নিয়ে অপেক্ষা করছি।
আরেক ব্যক্তি বলেন, স্ত্রীর ডাকে তড়িঘড়ি ঘুম থেকে উঠি। মনে হচ্ছিল, কেয়ামত হচ্ছে! সবকিছু দুলছে। চিৎকার-কান্না চারপাশে। চোখের সামনেই ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ি। কোনোভাবে প্রাণে বেঁচেছি।
ভূমিকম্পের ধাক্কা অনুভূত হয়েছে রাজধানী আঙ্কারাসহ আরও ১০ তুর্কি শহরে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে অনুভূত হয় অন্তত ৪২টি আফটারশক। যার সবগুলোই ছিল ৬ মাত্রা বা তার ওপর। কম্পনে ভেঙে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি-স্থাপনা। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে বহু বাসিন্দা।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০টি শহর- গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সময়ের সাথে বাড়বে হতাহতের সংখ্যা।
তিনি বলেন, ভোর সোয়া চারটা নাগাদ হয়েছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। কেন্দ্র গাজিয়ানতেপে হলেও, রাজধানীসহ কমপক্ষে ১০ শহরে অনূভূত হয় কম্পন। অনেকগুলো আফটারশক রেকর্ড করা হয়, যা শুধুই ধ্বংস ডেকে এনেছে। কেন্দ্রীয় সরকার, প্রত্যেক রাজ্য প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড, উদ্ধারকর্মীরা সবাই তৎপর। দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় কাজ করছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রিসেন্টও। সময়ের সাথে বাড়বে প্রাণহানি।
বঙ্গবাণীডটকম/এমএস
- মাদ্রাসায় পড়াতে হবে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ!
- ভারতের মিগ ২৯-কে যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিখোঁজ
- প্রায় ১৬ কোটি টকায় বিক্রি হল একটি কবুতর
- ভিক্ষায় পাওয়া লটারি, জিতলেন ৫০ লাখ টাকা
- মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের জরুরি বৈঠক
- আসছে মহা বিপদ, ডুবে যাবে লন্ডন-ফ্লোরিডা-কায়রোসহ অনেক শহর!
- সৌদির প্রখ্যাত আলেম শেখ আবদুল্লাহ গ্রেফতার
- অবৈধ স্বর্ণের খনিধসে নিহত ৫০
- ফের আইসোলেশনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
- লেবাননে আবারো শক্তিশালী বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা
- চুল কাটতে গিয়ে পুড়ল কপাল, মামলা খেলেন নাপিত
- বিশ্বে করোনায় মৃত্যু সাড়ে ৯ লাখে পেড়িয়ে
- আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করছে সৌদি আরব
- করোনায় মৃত্যু প্রায় ৪৪ লাখ
- সৌদিতে ভয়াবহ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা