ঢাকা, ০৪ মে, ২০২৪ | বৈশাখ ২১ ১৪৩১
ঢাকা, ০৪ মে, ২০২৪       
banner

সালিশে ১০১ দোররা মেরে পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি   বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

সালিশে ১০১ দোররা মেরে পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে

ছবি-সংগৃহীত

গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে দুই সন্তানের জনক-জননী পরকীয়া প্রেমিক যুগলকে ১০১ দোররা মেরে শাস্তির পর বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ধামরাইয়ের  ডুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কুল্লা ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিনের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, সুয়াপুর ইউপির শিয়ালকুল গ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে একই গ্রামের লোকমান হোসেনের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই গৃহবধূর দুটি শিশুসন্তান রয়েছে। আর তার পরকীয়া প্রেমিক লোকমান হোসেনও দুই সন্তানের বাবা। 

বৃহস্পতিবার সকালে দুজন ঘুরতে বের হন। রাত ৮টার দিকে সিতি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভিটায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে স্থানীয়রা ওই প্রেমিক যুগলকে আটক করেন। পরে তাদের বেঁধে নেওয়া হয় ডুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কুল্লা ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিনের চেম্বারে। 

এরপর রাত ১১টার দিকে এক সালিশ বৈঠকে ওই প্রেমিক যুগলকে ১০১ দোররা মেরে শাস্তি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কাজী ডেকে ১৫ লাখ টাকা কাবিন রেজিস্ট্রি করে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। 

প্যানেল চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিন মেম্বার বলেন, লোকজন প্রেমিক যুগলকে আটক করে আমার কার্যালয়ে নিয়ে এলেও যা কিছু করেছেন এলাকার লোকজনই করেছেন। আমি এতে কিছুই করিনি।

মুসলিম ম্যারেজ রেজিস্ট্রার ও কাজী মো. আব্দুল আলীম বলেন, পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে কাবিন রেজিস্ট্রি করেছে। এতে আমার কোনো দোষ নেই। বিষয়টি তাদের বারবার জিজ্ঞাসা করেছি। তারা আমাকে কিছুই বলেনি।

গৃহবধূর স্বামী বলেন, আমার দুটি শিশুসন্তান রয়েছে। এখন আমার কী হবে। আমার সন্তানদের নিয়ে কী করব। বিষয়টি আমাকে জানালে সন্তানদের দিকে তাকিয়ে হলেও আমার স্ত্রীকে ঘরে ফিরিয়ে নিতাম। আমাকে সে সুযোগটিও দেওয়া হলো না। আমাকে তারা না জানিয়েই অন্যত্র তাকে বিয়ে দেওয়া হলো।

বঙ্গবাণীডটকম/এমএস

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত