কোপা আমেরিকা-২০২০
ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা
প্রকাশিত: ১৭:২৩, ১১ জুলাই ২০২১
শিরোপা হাতে আর্জেন্টিনা দল
কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা। অধিনায়ক মেসির হাত ধরে ১-০ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে এই জয় তুলে নেয় আর্জেন্টিনা। সবশেষ ১৯৮৬ দিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৯১ ও ১৯৯৩ সালের কোপা আমেরিকাও জিতেছে আলবিসেলেস্তেরা। এরপর আর নিজের জীবদ্দশায় আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক শিরোপা দেখতে পারেননি দিয়েগো ম্যারাডোনা।
২০০৪, ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকা ও ২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু ট্রফি নিজেদের করতে পারেনি দলটি। এবার আর ভুল করলেন না তারা। ব্রাজিল থেকেই ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরলো আলবিসেলেস্তেরা।
রোববার ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটিতে আধিপত্য বিস্তার করেই খেলছিল স্বাগতিক ব্রাজিল। ম্যাচের শুরু থেকে বারবার আর্জেন্টিনার রক্ষণে হানা দেয় তারা। তবে আর্জেন্টিনা জমাট রক্ষণ ভেঙে সাফল্যের দেখা পায়নি সেলেসাওরা।
খেলা শুরু না হতেই ৩ মিনিটের মাথায় ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখলেন ব্রাজিলের ফ্রেড। সাইডলাইনে মন্টিলকে ফাউল করায় ফ্রেড এই শাস্তি পান।
উল্টো ম্যাচের ২২ মিনিটের মাথায় রদ্রিগো ডি পলের দুর্দান্ত থ্রু বলে রেনান লোদির ভুলে এডারসনকে ফাঁকি দিয়ে ব্রাজিলের জালে বল জড়ান ডি মারিয়া।
ব্রাজিল ডিফেন্সের ওপর দিয়ে ডি পলের শট প্রথম সুযোগেই নিজের আয়ত্বে নেন ডি মারিয়া; লোদি থাকলেও তিনি রক্ষা করতে পারেননি। একা এডারসনকে ফাঁকি দিতে সমস্যা হয়নি অভিজ্ঞ ডি মারিয়ার। শুরুতেই দলকে এগিয়ে দেন এ তারকা ফরোয়ার্ড।
অফফর্মে থাকা নিকোলাস গনজালেজকে বসিয়ে ফাইনালের শুরুর একাদশে ডি মারিয়াকে জায়গা দিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই ডি মারিয়াই দলকে এনে দিলেন প্রথম সাফল্য।

১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যান লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই ডিফেন্সিভ খেলা শুরু করে আর্জেন্টিনা। তবে আক্রমণত্মক ছিল ব্রাজিল। ৫১ মিনিটে নেইমারকে মাঝমাঠে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন লো সেলসো।
একের পর এক জোরাল আক্রমণ করতে থাকে পেলের উত্তরসূরীরা। যার সুবাদে ম্যাচের ৫২ মিনিটেই পেয়ে যায় গোলের দুর্দান্ত সুযোগ। ডি-বক্সের মধ্য থেকে সেটি কাজেও লাগিয়েছিলেন রিচার্লিসন। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে তিনি অফসাইডে থাকায় বাতিল করা হয় গোল।
৫৫ মিনিটে মার্টিনিজের দারুণ সেভে রক্ষা পায় আর্জেন্টিনা। ডান দিক থেকে নেইমারের বাড়ানো বলে শট নিয়েছিলেন রিচার্লিসন। কিন্তু মার্টিনেজকে ফাঁকি দিতে পারেনি বল।
৫৪ মিনিটের মাথায় পারেদেসকে তুলে নিয়ে রডরিগেজকে মাঠে নামায় আর্জেন্টিনা। ৫৫ মিনিটের মাথায় রিচার্লিসনের আক্রমণ প্রতিহত করেন আর্জেন্টিনা গোলকিপার মার্টিনেজ। ৬৩ মিনিটে লো সেলসোকে তুলে নিয়ে ট্যাগলিয়াফিকোকে মাঠে নামায় আর্জেন্টিনা। ৬৩ মিনিটে এভার্টনকে তুলে নিয়ে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে মাঠে নামায় ব্রাজিল।
৬৮ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্তিনার ডি'পল। ৭০ মিনিটের মাথায় ডি'পলকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের রেনান লোদি। ৭১ মিনিটে পাকুয়েতার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ম্যাচ। ৭২ মিনিটের মাথায় ট্যাগলিয়াফিকোকে ফাউল করার জন্য রেফারি হলুদ কার্ড দেখান ব্রাজিলের পাকুয়েতাকে। ৭৬ মিনিটে রেনান লোদি ও পাকুয়েতাকে তুলে নিয়ে ব্রাজিল মাঠে নামায় এমার্সন ও বারবোসাকে।
৭৯ মিনিটে একসঙ্গে তিনজন পরিবর্ত ফুটবলারকে মাঠে নামায় আর্জেন্টিনা। রোমেরো, ডি মারিয়া ও এল মার্টিনেজকে তুলে নিয়ে আর্জেন্টিনা মাঠে নামায় পেজেল্লা, পালাসিয়স ও গঞ্জালেজকে। ৮১ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্জ দেখেন আর্জেন্টিনার ওতামেন্দি। ওতামেন্দির চ্যালেঞ্জের পর আগ্রাসী আচরণের জন্য ৮২ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের মারকিনহোস। ৮৩ মিনিটে পেজেল্লার আক্রমণ ব্যাহত হয় ভিনিসিয়াসের পায়ে। ৮৩ মিনিটের মাথায় ২৫ গজ দূর থেকে দানিলোর শট ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে উড়ে যায়। ৮৫ মিনিটের মাথায় নেইমারের কর্ণার কিক থেকে হেডে আর্জেন্টিনার জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করেন থিয়াগো সিলভা।
তবে তার হেডার ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। ৮৯ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্টিনার মন্তিয়েল। তার আগে ৮৭ মিনিটের মাথায় বারবোসার শট প্রতিহত করেন আর্জেন্টিনা গোলকিপার মার্টিনেজ।
৮৯ মিনিটের মাথায় গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ৬ গজ দূরত্ব থেকে ব্রাজিলের গোলকিপারকে পরাস্ত করলেই আর্জেন্টিনা লিড বাড়িয়ে নিতে পারত। সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। দ্বিতীয়ার্ধে ৫ মিনিট সময় সংযোজিত হয়। ৯০+৩ মিনিটে ডি'পলের আক্রমণ প্রতিহত করেন এডারসন। দারুণভাবে আর্জেন্টিনার জাল অক্ষত রাখেন সেমিফাইনালের নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনা চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় সামলেছে সব আক্রমণ।
এরপর বাজল শেষ বাঁশি, এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অবিশ্বাস্য সে মুহূর্ত। যার অভাব আর্জেন্টিনাকে ২৮ আর মেসিকে পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই উপহার দিয়েছে হতাশা, সে অভাব ঘুচল। আর কোন গোলের দেখা পায়নি দুই দল। এতেই ৭১ বছর পর মারকানায় হার নিয়ে মাঠা ছাড়ল তিতের শিষ্যরা।
বঙ্গবাণীডটকম/এমএস
- আফ্রিকার ফুটবলে কালো জাদু!
- টি-২০ বিশ্বকাপ-২১
সূচি প্রকাশ, উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ - মহানবীকে (স.) নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, ফ্রান্স দল ছাড়ছেন পগবা
- আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ানস
- ১৭ বছর জয় পেলো বাংলাদেশ
- আবারো ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ
- শেখ রাসেল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ফরিদপুরের জয়
- ২ টেস্ট ৩ টি-টোয়েন্টি খেলতে আসবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল
- এশিয়ান আরচ্যারী চ্যাম্পিয়নশিপস-২০২১
ভারত বিদায়, ফাইনালে বাংলাদেশ - নেপালকে নিয়ে হোয়াটমোরের নতুন চ্যালেঞ্জে
- বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজকে হাড়িয়ে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ শুরু
- বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ
জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলো নাজমুল একাদশ - মেসির গোলে আর্জেন্টিনার বাছাই পর্বে জয়
- দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সব সদস্যের পদত্যাগ
- ব্যাট ছেড়ে বোলিংয়ে মুশফিক

