ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪ | বৈশাখ ৭ ১৪৩১
ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪       
banner

চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণের, পাঁচজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ২৯ মে ২০২১

চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণের, পাঁচজন রিমান্ডে

প্রতীকী ছবি

ঢাকার আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার পাঁচ আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ মামলার অপর এক আসামি সুমন আদালত দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতের আশুলিয়া থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মো. আরিয়ান, সাজু, সোহাগ, মনোয়ার ও সাইফুল ইসলাম। আসামিরা সবাই তুরাগ থানার কামারপাড়া ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাতেন।

শনিবার ছয় আসামিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আসামি সুমন ও মনোয়ার স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও রসহ্য উদঘাটনের জন্য অপর চার আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর বোন মানিকগঞ্জে থাকেন। গতকাল শুক্রবার তিনি বোনের বাসায় যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নারায়ণগঞ্জে নিজের বাসায় ফিরতে তিনি বাসে ওঠেন।

রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। এ সময় বাসের জন্য তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত ৯টার দিকে নিউ গ্রামবাংলা পরিবহনের একটি মিনিবাসের চালকের সহকারী মনোয়ার ও সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম এসে টঙ্গী স্টেশন রোডের কথা বলে তার কাছে ৩৫ টাকা ভাড়া চান। তিনি মিনিবাসে উঠলে গন্তব্যে যাওয়ার আগেই সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়। চালক বাসটি নিয়ে আবার নবীনগরের দিকে রওনা হন। 

এ সময় বাসের জানালা ও দরজা আটকে বাসচালক, সহকারীসহ ছয়জন ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ঘটনার একপর্যায়ে টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই ছয়জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী ওই ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এরপর ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

ভুক্তভোগী নারী নারায়ণগঞ্জে স্বামী ও সন্তান নিয়ে থাকেন। তিনি সেখানে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক।

বঙ্গবাণী/এমএস

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত