ঢাকা, ২১ জুন, ২০২৫ | আষাঢ় ৮ ১৪৩২
ঢাকা, ২১ জুন, ২০২৫       
Shruhid Tea

একজন সৈকত ইসলাম এর পথচলা

বিনোদন প্রতিবেদক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৭:২৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

একজন সৈকত ইসলাম এর পথচলা

সৈকত ইসলাম, অভিনেতা ও সংগঠক। ছবি- সংগৃহীত

পেশা ও কর্ম : সৈকত ইসলাম ফ্যাশন আউটলেট ব্যাং’র হেড অফ মিডিয়া এন্ড মার্কেটিং, আর্ট, এলিট’র হেড অফ মিডিয়া এবং ইমপের’র এর হেড অফ মিডিয়া এন্ড মার্কেটিং হিসেবে কর্মরত। এর বাইরে BBF& সুহৃদ ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট ও স্কিল ডেভলপমেন্ট সেন্টার এবং সুহৃদ‘র মাধ্যমে দীর্ঘ দিন হতে তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরিতে কাজ করছেন|

সুহৃদ পরিচিতি : সুহৃদ হলো সার্বক্ষণিক কল্যাণ কামনাকারী বন্ধু! বা  সু = সুন্দর হৃ = হৃদয়ের দ= দল! সৈকত ইসলাম এর হাত ধরে সুহৃদ’র জন্ম হয়েছিলো ১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে মহা সাড়ম্বরে! এখন সুহৃদ’র ২৭ বছর পেরিয়ে ২৮ এ পা রাখা এক টগবগে যুবক। সে সময়ের নিবেদিত প্রাণ দূরন্ত সুহৃদ’র ছড়িয়ে আছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্বমহিমায়, দ্যুতি ছড়াচ্ছে নিজ নিজ ক্ষেত্রে!

১৯৯৫ সালের সেই সুহৃদ’রা এখনো কাজ করে যাচ্ছে শত-শত তরুণের জন্য। সেই সময় বগুড়া শহরে দেয়ালে দেয়ালে সুহৃদ’র শ্লোগান শোভা পেতো। সময়ের বিবর্তনে আজকে সুহৃদ’র শ্লোগান হলো : ‘স্বপ্নবাজ মানুষদের স্বপ্ন পূরণের সাথী হতে সুহৃদ’। ২৮ বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে সুহৃদ’র বেশ কিছু সফল শর্ট ফিল্ম এবং মিউজিক ভিডিও প্রযোজনা করেছে।

প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো : সৈকত ইসলাম ২০১১ সালে জি বাংলার মীরাক্কেলে বগুড়া ভেন্যু হতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হলে পাসপোর্ট-ভিসা হয়ে যাওয়ার পরেও যাওয়া হয়ে উঠে নি। ২০১২ সালে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ক্লাসের কাজ হিসেবে চ্যানেল আই’র জন্য একটা ডকুমেন্টারির জন্য। ২০১২ সালে তানভীর মোকাম্মেলের ‘জীবনঢুলী’তে যুক্ত হয়েছিলাম ঘৃণ্য পাক হানাদার হিসেবে।

সৈকত ইসলাম এর অভিনয় জীবন : টেলিফিল্ম : এখনো আঁধার।

নাটক : সৈকত ইসলাম ইশতিয়াক আহমেদ‘র ডাকাত, সুলতান দ্যা টি বয়, সুলতান সুলাইমান, পন্নী নিয়োগী’র সাক্ষী মানব, রবিউল ইসলাম সোহেল‘র অভিযোগ, বিটিভির আরো বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন। 

ওয়েব সিরিজ : ইশতিয়াক আহমেদ’র কিশোর গ্যাং।

ক্রাইম ফিকশন : তিনি গাজী টিভি‘র ক্রাইম ফিকশন এ্যাকশন আওয়ার’র একটিপর্ব।  সেখানে প্রখ্যাত অভিনেতা আবুল হায়াত সাহেব’র সহশিল্পী ছিলেন। 

শর্টফিল্ম : সৈকত ইসলাম প্রতিচ্ছবি, স্যরিবাবু, সোফাসেট, গল্পটি মানহার, স্বরণ সাঈদ’র দ্যা হোপ, রহমান শেলি’র হেলমেট। ইউটিউব কন্টেন্ট হিসেবে নির্মিত নাটক পূষণ’র ‘ফিরে চলা’। 

মিউজিক ভিডিও : সৈকত ইসলাম উজ্জ্বল রহমান’র শোন গো দক্ষিণা হাওয়া, সাইফুল ইসলাম রোমান’র পিরিতের সাম্পান, নাইওর, পংকজ কুমার দাস’র বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটা কাজ।  আজহারুল ইসলাম অভির দুষ্টু মেয়ে।

বিজ্ঞাপন : সৈকত ইসলাম ‘টাটা নিটল বাস’র একটা বিজ্ঞাপন।  এছাড়াও সরকারি একটা কাজ Bangladesh Center For Communication Programs BCCP)’র অধীনে নির্মিত TVC ই টেন্ডার বিভিন্ন চ্যানেলে দেখায়। ডেকোর সুপার ডুপার বিস্কুট, একটা স্যানিটারি ন্যাপকিন’র বিজ্ঞাপনে ক্রিকেট কোচ ছিলেন।

OVC: সৈকত ইসলাম বুমকাস্ট, সামাজিক কনভেনশন সেন্টার‘র OVC, পিয়ানো।
পেপার ও বিলবোর্ড : গ্রামীণফোন, IDCLহোম লোন, মিডল্যান্ড ব্যাংক’র কাজগুলো।

লেখালেখি : সৈকত ইসলাম ২০০১ সালে আমার সংকলন ও সম্পাদনায় বিখ্যাত প্রকাশনী ‘আজিজিয়া বুক ডিপো’ হতে প্রকাশিত ৩ খণ্ডের শিশুতোষ বই ‘এসো গল্প শিখি’ এখনো বিভিন্ন কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে আসছে।

প্রকাশক : ৯০’র কবিতা অন্য আকাশ| 
কাহিনি ওসংলাপ : মা, গল্পটিমানহার, স্যরিবাবু, একটি মানবিক গল্পের উপাখ্যান।

প্রযোজনা : মা, স্যরিবাবু, গল্পটি মানহার, একটি মানবিক গল্পের উপাখ্যান, পার্মানেন্ট মার্কার, এ কেমন খেলা?

ইশতিয়াক আহমেদের লিরিক নিয়ে নির্মিত ’বিরহ আমার মিউজিক ভিডিও।
আসছে ভালোবাসা দিবসে সুহৃদ’র ব্যানারে অচেনা মন।

টার্নিং পয়েন্ট :
বিজ্ঞাপন :  টাটা নিটল বাস, Bangladesh Center For Communication Programs BCCP)’রঅধীনেনির্মিতএকটি TVC ই টেন্ডার, 
পেপার ও বিলবোর্ড : গ্রামীণফোন, IDCLহোম লোন, মিডল্যান্ড ব্যাংক।

সৈকত ইসলাম এর সামনে যে কাজ আসছে : সামনের ভালোবাসা দিবেসে আসছে সুহৃদ’র প্রযোজনায় Suhrid চ্যানেলে পুলক অধিকারীর গাওয়া, সৈকত ইসলাম’র লেখা ‘অচেনা মন’র অফিসিয়াল মিউজিক ভিডিও এবং সৈকত ইসলাম’র রচনায়, রাকিবুল হাসানের পরিচলনায় RH  Films Creation ‘র ব্যানারে বেশ কিছু শর্টফিল্ম।   

ঋণস্বীকার : সৈকত ইসলাম বলেন, ‘আমার যেসব কাজের জন্য মানুষ আমাকে দেখেছে বাTV পর্দায় দেখে বলেছে বা চিনেছে সেসব কাজগুলোই আমাকে দিয়েছে, 3ডট প্রোডাকশনের মেহেদি হাসিব ও ম্যাক্স দাদা,  Avid Talent Agency’র সুজন আল মামুন, ভারসুতুর মনিরুল ইসলাম, গ্লামারওয়ার্ল্ড মডেল এজেন্সি’র শান খান এবং রুবাইয়াত খান নামের সুহৃদ’রা।

প্রাপ্তি : ২০১২ সাল হতে মুটামুটি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে এ পর্যন্ত প্রাপ্তি কিছু মানুষের ভালোবাসা আর আস্থা। আমাকে নিয়মিতভাবে কিছু নির্মাতা আয়োজক ডাকেন, আমি শুধু তাদের কাজটাই মনপ্রাণ দিয়ে করে দেই। আবার অনেকেই বলে থাকেন, আমি কেনো মিডিয়াতে নিয়মিত না? আমি তো চাইলেই বছরে বেশ কিছু নাটক করতে পারি! আসলে মিডিয়া আমার পেশা না।  আবার আমার কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে।  আমি মনে করি, মিডিয়া আমার মেধা প্রতিফলনের একটা ক্ষেত্র মাত্র।  আর আমি কখনোই যোগাযোগ বা রিলেশন করে কাজ পাওয়া বা মুখ দেখানোতে বিশ্বাসী না। তাছাড়া আমার করা কাজগুলো একটু খেয়াল করে দেখলে বুঝতে পারবেন, আমি নিয়মিতভাবে ঘুরে ফিরে ক’জন পরিচালক এবং মিডিয়া হাউজর’ই কাজ করেছি। তারাই ডেকেছেন। হয়তো তারা ভালোবেসে বিশ্বাস করেছন, আস্থা রেখেছেন। তাই আমিও যথাসাধ্য কাজটি মনোযোগ দিয়ে করে প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করি।

বঙ্গবাণীডটকম/এমএস

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত