ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ | বৈশাখ ১৪ ১৪৩১
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪       
banner

আমাদের শিল্পীরা অনেক স্মার্ট এবং দেখতেও সুন্দর: তথ্যমন্ত্রী

বিনোদন প্রতিবেদক বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৮:২০, ৫ জানুয়ারি ২০২৩

আমাদের শিল্পীরা অনেক স্মার্ট এবং দেখতেও সুন্দর: তথ্যমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণ করলে প্রচলিত ট্যাক্সের বাইরে শিল্পীপ্রতি দুই লাখ টাকা এবং যে টেলিভিশন চ্যানেল সেই বিজ্ঞাপন দেখাবে, তাদেরকে ২০ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে দিতে হবে। কারণ, আমাদের শিল্পীরা অনেক স্মার্ট এবং ভালো অভিনয় করেন, দেখতেও সুন্দর। তাদের বাদ দিয়ে বিদেশিদের নেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা আমরা খুঁজে পাইনি বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের টেলিভিশন নাট্যশিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী একথা বলেন। এ সময় অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু খাদেম, নির্বাহী সদস্য মাজনুন মিজান, সদস্য হৃদি হক, সংগীতা চৌধুরী ও আইনুন নাহার বৈঠকে অংশ নেন।


শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব অভিনয় শিল্পকে পেশা হিসেবে ঘোষণা করা, শিল্পীদের জন্য গঠিত কল্যাণ ট্রাস্টে নাট্যশিল্পীদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, টেলিভিশন নাটক ও সিরিয়াল নির্মাণে উৎসাহদানসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন।


সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম বেসরকারি টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়া শুরু করেন। এরপর ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে টেলিভিশনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১০টিতে। আমরা ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার গঠন করার পর আজ পর্যন্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ৪৬টি। এরমধ্যে সম্প্রচারে আছে ৩৬টি টেলিভিশন চ্যানেল এবং আরও কয়েকটি খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে। এভাবে ব্যাপক বিকাশ ঘটার কারণে টেলিভিশন শিল্প আমাদের ছেলেমেয়েদের একটি বড় কর্মক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ 

ড. হাছান জানান, কোনও কোনও টেলিভিশন শুধু বিদেশি সিরিয়াল নির্ভর ছিল। পরে আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিপত্র দিয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেল একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল একই সময়ে দেখাতে পারবে না, সেটি কার্যকর করেছি। ফলে আমাদের দেশেও এখন সিরিয়াল নির্মাণ হচ্ছে। আমরা আরও বিধি করেছি। ব্যাপক বিকাশ ঘটার কারণে টেলিভিশন শিল্প এখন আমাদের ছেলেমেয়েদের একটি বড় কর্মক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিল্পীদের দাবি দাওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব সবই পূরণ করার চেষ্টা করছি। যেসব দাবি দাওয়া ছিল না, সেগুলোর ব্যাপারেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। শুধু তাই নয়, আমাদের পরিকল্পনা আছে টেলিভিশন মাধ্যমে যারা অভিনয় করেন, তাদের জন্য জাতীয় পুরস্কারের প্রবর্তন করা যায় কিনা, সেটি আমরা ইতোমধ্যেই আলোচনায় এনেছি।’

বঙ্গবাণীডটকম/এমএস

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত