ঢাকা, ১৮ জুন, ২০২৫ | আষাঢ় ৫ ১৪৩২
ঢাকা, ১৮ জুন, ২০২৫       
Shruhid Tea

স্কুলের নেই সীমানা প্রাচীর:নিরাপত্তা ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

নুরুল ইসলাম, সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ২৫ মে ২০২৫

স্কুলের নেই সীমানা প্রাচীর:নিরাপত্তা ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

ছবি- বঙ্গবাণী

১৯৩৮ সালে স্থাপিত হয়েছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের জুঙ্গুরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে বিদ্যালয়টিতে এখনো করা হয়নি দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন। সড়ক ঘেষে থাকা স্কুলটির নেই সীমানা প্রাচীর। নেই খেলাধুলা ও অ্যাসেম্বলির জন্য সমতল মাঠ। 

এমন অবস্থায় অবহেলিত স্কুলটির কমলমতি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হবার পাশাপাশি চরম নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।  

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তালমা-নগরকান্দা আঞ্চলিক সড়কের পূর্বপাশ ঘেষে জুঙ্গুরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থান হলেও নেই সামীনা প্রাচীর। স্কুল ঘেষে থাকা সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে শতশত ছোট-বড় যানবাহন। কমলমতি অনেক শিক্ষার্থী একরকম না বুঝেই দৌড়া-দৌড়ি করে ওই সড়কের উপর ওঠে যাচ্ছে। তাছাড়া স্কুল ছুটির পর ও স্কুলের আসার সময় ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছে তারা। এমন অবস্থায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে পুরাতন এই স্কুলটির শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করার মত একটি সমতল মাঠ নেই। এমনকি অ্যাসেম্বলি করার মত নেই সুব্যবস্থাও।

জুঙ্গুরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজা খানম বলেন, সড়কের পাশে অবস্থিত আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। একদিকে আশঙ্কায় থাকি সড়কের চলাচলরত গাড়ি কখন স্কুলের ভেতর ঢুকে পড়ে আবার অন্যদিকে কমলমতি শিক্ষার্থীরা দৌড়া-দৌড়ি করতে করতে কখন সড়কের ওপরে ওঠে যায়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হয়। এমন অবস্থায় সারাক্ষণ আমরা টেনশনে থাকি।

তিনি আরো বলেন, স্কুল মাঠ সমতল না হওয়ায় অ্যাসেম্বলিতেও অসুবিধার হচ্ছে। স্কুলের মোট ৪৬ শতাংশ জমি থাকলেও এর একাংশে পুকুর। বড় ভবন, সীমানা প্রাচীর ও মাঠ ভরাট করার জন্য প্লান জমা দেওয়া হয়েছে। এসব উন্নয়ন সম্পন্ন করা হলে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি কমে যাবে এবং ঠিকমতো খেলাধুলা করতে পারবে।

এহসানুল হক ও শওকত আলী শরিফ নামে স্থানীয় দুই অভিভাবক বলেন, স্কুলটি অনেক পুরনো হলেও অজ্ঞাত কারণে হয়নি উন্নয়ন। সবচেয়ে বড় সমস্যা সড়কের পাশে থাকা এই স্কুলের বাউন্ডারি নেই। যে কারণে আমাদের ছোট ছেলে-মেয়েদের নিপরাপত্তা নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দাবি জানান তারা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রওনক আরা বলেন, সীমানা প্রাচীরের জন্য একটি আবেদন ও স্টিমেট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। মাঠ ভরাটের বিষয়ে ইউএনওকে জানিয়েছি।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফি বিন কবীর বলেন, স্কুলের সীমনা প্রাচীর ও মাঠের বিষয়টি আমাদের আগে কেউ জানায়নি। তবে এখন যেহুত বিষয়টি সামনে এসেছে। তাই স্কুলটির শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও খেলাধুলার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা শিক্ষা অধিপ্তরে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত