ঢাকা, ১৭ মে, ২০২৪ | জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১
ঢাকা, ১৭ মে, ২০২৪       
Shruhid Tea

দেশীয় অস্ত্র ফেরত না দেওয়ায় সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত-২৫

নুরুল ইসলাম, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ৪ এপ্রিল ২০২২

দেশীয় অস্ত্র ফেরত না দেওয়ায় সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত-২৫

ছবি- বঙ্গবাণী

দেশীয় অস্ত্র ঢাল ফেরত না দেওয়ায় এক ব্যক্তির ইজিবাইক আটক করা নিয়ে ফরিদপুরের সালথায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বসত বাড়িঘর ও দোকান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাতে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। 

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের গুলি ছুড়ে, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে ওই এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় ফের সংঘর্ষের আশঙ্ক করছে স্থানীয়রা।

জানা গেছে- গেল ইউপি নির্বাচন শেষ হওয়াব পর থেকে গট্টি ইউনিয়নে দুটি পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ চলছে। বিরোধের জেরে ইউনিয়নের মাদ্রাসা গট্টি, বালিয়া গট্টি ও কানাইড় গ্রামে কয়েকবার সংঘর্ষ হয়। এতে ইউনিয়নের পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত হয়ে উঠে। 

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক ব্যক্তি জানান- চলমান উত্তেজনার মধ্যে কয়দিন আগে কানাইড় গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কুদ্দুছ মাতুব্বরের সমর্থক রেজাউল মাতুব্বর প্রতিপক্ষের বর্তমান ইউপি সদস্য পারভেজ মাতুব্বরের দলে যোগদান করেন। দল থেকে চলে যাওয়া রেজাউলের কাছে কুদ্দুছ মাতুব্বরের দেশীয় অস্ত্র ৩টি ঢাল ছিল। ওই ঢাল ফেরত চায় কুদ্দুছ। কিন্তু ঢাল ফেরত দেয় না রেজাউল। বিষয়টি নিয়ে ২-৩ দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। রবিরার সন্ধ্যায় কুদ্দুছ মাতুব্বরের দলনেতা নুরু মাতুব্বরর ও তার সমর্থকরা মাদ্রাসা গট্টি মোড় থেকে রেজাউলের ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক রেখে দেয়। তারা রেজাউলকে ঢাল ফেরত দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে যেতে বলে। পরে পুলিশ গিয়ে ইজিবাইক উদ্ধার করে তাকে ফেরত দেয়।

তারপরেও কানাইড় ও মাদ্রাসা গট্টির উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রাত ১০ টা থেকে শুরু করে রাত ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ। সংঘর্ষচলকালে উভয় পক্ষের অন্তত ৭-৮টি বসতঘর ও ১টি দোকান ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সংঘর্ষের বিষয় বক্তব্য নিতে উভয় পক্ষের নেতাদের ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেনি।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন- খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকদফা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে, ৩টি টিয়ারসেল ও ১টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ওই এলাকার পরিবেশ ভাল রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  

বঙ্গবাণীডটকম/এমএস

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত