ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | মাঘ ১ ১৪৩১
ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫       
Shruhid Tea

নিখোঁজ তাহিয়ার ঘাতককে হত্যা করলো বিক্ষুব্ধ জনতা

ফরিদপুর প্রতিনিধি বঙ্গবাণী

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

নিখোঁজ তাহিয়ার ঘাতককে হত্যা করলো বিক্ষুব্ধ জনতা

তাহিয়া ইসলাম

ফরিদপুরে নিখোঁজের পরদিন সাত বছরের শিশু তাহিয়ার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। এরপর সেখানে উপস্থিত হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক হায়দার মোল্লা (৫৫) কে বেদম পিটুনিতে হত্যা করেছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরনশিপুর গ্রামের চরনশিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সাবেক মম্বর ইউনুস মোল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজনের হাত থেকে হায়দার মোল্লাকে রক্ষা করতে গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ কোতয়ালী থানার ওসি ও বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম। 

তিনি বলেন, মঙ্গবার বিকেলে জিয়া মোল্লার ৭ বছরের মেয়ে তাহিয়া নিখোঁজ হলে থানায় জিডি করা হয়। সেদিন সন্ধা থেকেই পুলিশসহ অনেক লোকজন তাহিয়ার খোঁজ করলেও তাহিয়া পায়না। পরদিন সকাল থেকে মাইকিং সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোঁজ করেও সন্ধা পযর্ন্ত চেষ্টা চালিয়ে যায়।

বুধবার সন্ধারদিকে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনা স্থলে আসেন এবং সন্দেহভাজন প্রতিবেশি হয়িদার মোল্লার (৫৫) ঘরে তল্লাশি করলে বারান্দার রুমে বস্তা বন্দি অবস্থায় মেলে তাহিয়ার মরদেহ। এ সময় সেখানে উপস্থিত হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক হায়দার মোল্লা (৫৫) কে বেদম পিটুনিতে হত্যা করেছে। বিক্ষুব্ধ লোকজনের হাত থেকে হায়দার মোল্লাকে রক্ষা করতে গিয়ে আমিসহ কোতয়ালী থানার ওসি ও বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হই।

কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নিখোঁজ মেয়েটির খোঁজে তদন্তে নেমে পাশের বাড়ির হায়দার মোল্লা ওরফে শাহীন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে সন্দেহ করা হয়। পরে তার ঘরের ভেতর তল্লাশি চালিয়ে একটি বস্তার ভেতরে বিদ্যুতের তার দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় তাহিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ শাহীনকে আটক করে।

এরইমধ্যে খবর পেয়ে প্রায় হাজার খানেক গ্রামবাসী জড়ো হয়। তারা পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশের কাছে শাহীনকে ছেড়ে দিতে চাপ দিতে থাকে। পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা পুলিশের প্রতিরোধ ডিঙিয়ে ঘর ভেঙে শাহীনের ওপর চড়াও হয়। তাদের বেধড়ক মারপিট ও কিল ঘুষিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। 

তিনি আরো বলেন, বুধবার রাতে মৃত দেহদুটি ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে এসেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ময়নাতদন্ত শেষ হয়নি। ময়নাতদন্ত শেষ হলে আমরা বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারবো। এছাড়া দুটি হত্যা কান্ডের জন্য দুটি মামলা দায়ের করা হবে। 

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত