ভেঙে পড়ল চার কোটি টাকায় নির্মাণাধীন ব্রিজ!
প্রকাশিত: ১৬:৪৭, ২৭ মার্চ ২০২৩

ছবি- বঙ্গবাণী
প্রায় চার কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে ফরিদপুরের নগরকান্দায়। শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়ের মাঝিকান্দা-তালমার খালের ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজের পাটাতন ঢালাইয়ের সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
নির্মাণাধীন ব্রিজ এভাবে ভেঙে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি কাজ করার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে।
ব্রিজের তদাকরী কর্মকর্তা নগরকান্দা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. মিরান হোসেন বলেন, ৩৯ মিটার ব্রিজটির তিনটি পাটাতন (স্ল্যাব) করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রিজের দুই মাথার দুটি পাটাতন ঢালাইয়ের কাজ শেষে হয়েছে। কিন্তু মাঝের পাটাতন ঢালাইয়ের জন্য দোতলা মাচা পাতা হয়। প্রথমে ১০ ফুট করে বল্লি (গাছের খুঁটি বিশেষ যা দিয়ে পাইলিং করা হয়) বসিয়ে একটি কাঠের মাচা পাতা হয়। ওই মাচার ওপরে আবারও আট ফুট করে বল্লি বসিয়ে তার ওপরে আরেকটি মাচা পেতে মাঝের পাটাতন ঢালাইয়ের কাজ শুরু করি। পরে মাঝের স্ল্যাবের ঢালাইসহ দোতলা মাচা ভেঙে পড়ে। এখন পুনরায় আবার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. রেজাউল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ব্রিজের নির্মাণকাজ চলাকালে ঢাকা থেকে প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (পিডি) মো. বাদশা মিয়া পরিদর্শনে আসেন। তিনি এসে ব্রিজের পাটাতন ঢালাইয়ের জন্য যেভাবে মাচা পাতা হয়েছে তাতে আপত্তি জানান। পিডি দোতলা মাচা পেতে মাঝের পাটাতন দ্রুত ঢালাই দেওয়ার নির্দেশ দেন। আমার ঠিকাদারী জীবনে দোতলা মাচা পেতে ব্রিজের পাটাতন ঢালাই কোনো দিন দেইনি, বা কাউকে দিতে দেখিনি। পরে পিডির নির্দেশমতো দোতলা মাচা পেতে ঢালাই দিতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটে। এখন আমার ব্যক্তিগত খরচে আবার ওই পাটাতন ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেছি। এতে আমার অনেক টাকা লস হবে।
তবে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজের শুরু থেকে নানা অনিয়ম করা হচ্ছে। ব্রিজের পিলারগুলোও বাঁকা হয়ে আছে। অথচ উপজেলা প্রকৌশলীকে কখনো সাইটে আসতে দেখিনি। কাজ চলাকালে তদারকির অনেক অভাব ছিল। অথচ এখন হঠাৎ ব্রিজটি যখন ভেঙে পড়েছে, তখন বড় বড় অফিসার আসছেন। এখন আবার ভেঙে পড়া ব্রিজের কাজ তড়িঘড়ি করে সংস্কার করা হচ্ছে। এতে কাজের মান কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন ফোনে বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। ব্রিজ ভেঙে পড়ার বিষয়ে পরে কথা হবে জানিয়ে তিনি এড়িয়ে যান।
তবে ফরিদপুরের এলজিইডির (স্থানীয় সরকার বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান খাঁন বলেন, স্টেজিং ভালো না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। নিচের গোড়াটা যেভাবে করার দরকার ছিল সেভাবে হয়নি বিধায় এমনটা হয়েছে। এটা একজন ঠিকাদারের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঠিকাদারকেই নিতে হবে এ ক্ষতির দায়ভার।
বঙ্গবাণীডটকম/এমএস
- নেশার টাকা দেননি বলে নিজের মাকে গলা কেটে হত্যা
- করোনায় মারা গেলেন ফরিদপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক তারাপদ স্যার
- বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক ইলিয়াস আহম্মেদ পাল মারা গেছেন
- সালথা তান্ডবের এক বছর
ওসির বিরুদ্ধে কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ - ফরিদপুর সদরে ১১ টি ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে
- বেড়িবাধ থেকে অটোচালকের দগ্ধ লাশ উদ্ধার
- ধর্ষনে অন্তঃসত্তা কাজের বুয়া, ধরে বিয়ে পড়িয়ে দিলেন এলাকাবাসী
- ফরিদপুর পৌর নির্বাচনে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি নায়াব ইউসুফের
- ফরিদপুরে ছাত্রলীগের শীতবস্ত্র বিতরণ
- এসকাভেটর উল্টে পড়লো বিদ্যুতের খুটির ওপর
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলো প্রেমিক জুটি
- চরভদ্রাসনে নিজ বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানের ভাইয়ের লাশ উদ্ধার
- পরকীয়ার টানে ২ সন্তান রেখে পালালেন মহিলা মেম্বার
- সমবায় অফিসার বিরাজ কুন্ডের বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহনসহ নানান অভিযোগ
- সেই বিতর্কিত ওসি আশিকুজ্জামানের বদলি