উপ-নির্বাচন
আ`লীগের বিদ্রোহী দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
প্রকাশিত: ১২:৫২, ২০ অক্টোবর ২০২২

অ্যাডভোকেট মোঃ জামাল হোসেন মিয়া ও মোঃ আলমগীর মিয়া
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ জামাল হোসেন মিয়া। এছাড়া একই সাথে এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোঃ আলমগীর মিয়া তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
(১৯ অক্টোবর) বুধবার দুপুরে ফরিদপুর নির্বাচন অফিস থেকে তাদের দুইজনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
বিকেলে ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান আ'লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আলমগীর মিয়ার মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে এ মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান জামালের বড় ভাই মোঃ কামাল হোসেন মিয়া।
কামাল হোসেন মিয়া বলেন, নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন করে জামাল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আমরা আ'লীগের মনোনীত প্রার্থীকে পূর্ণ সমর্থন করেছি। আমরা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করবো।
এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ব্যাপারে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোঃ আলমগীর মিয়া বলেন, ফরিদপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী একজন সম্মানী ব্যক্তি ও আওয়ালীগের একজন প্রবীণ নেতা ছিলেন। আর তাইতো তাঁর পরিবারের সম্মানার্থে আমি আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি।
ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ০৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ০৪ জন বৈধ প্রার্থী হিসেবে তালিকায় থাকেন এবং ০২ জনের তথ্যের গড়মিল থাকায় যাঁচাই-বাছাইয়ে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।
গত বুধবার (১২ অক্টোবর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ও দুইজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে জেলা নির্বাচন অফিস।
যাঁচাই-বাছাই শেষে বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীগণ হলেন- শাহাদাব আকবার লাবু চৌধুরী (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), মোঃ জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মোঃ আলমগীর মিয়া (জাতীয় পার্টি), জামাল হোসেন মিয়া (স্বতন্ত্র)।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন-মোঃ কামরুজ্জামান (স্বতন্ত্র), সমর্থন সূচক স্বাক্ষর যুক্ত তালিকায় তথ্যের গড়মিল থাকায় বাতিল হয় তাঁর মনোনয়নপত্র। মো. আবদুল কাদের (স্বতন্ত্র) সমর্থন সূচক স্বাক্ষর যুক্ত তালিকায় তথ্যের গড়মিল থাকায় তাঁর মনোনয়নও বাতিল করা হয়।
এরপরে, ১৯ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোঃ আলমগীর মিয়া মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, এই নির্বাচন ইভিএময়ের মাধ্যমে হবে। ফরিদপর-২ সংসদীয় আসনের মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন ।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ আগামী ৫ই নভেম্বর। খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রসঙ্গ, সদ্য প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী ১০ অক্টোবর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ অক্টোবর ও প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর। আগামী ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বঙ্গবাণীডটকম/এমএস
- নেশার টাকা দেননি বলে নিজের মাকে গলা কেটে হত্যা
- করোনায় মারা গেলেন ফরিদপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক তারাপদ স্যার
- বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক ইলিয়াস আহম্মেদ পাল মারা গেছেন
- সালথা তান্ডবের এক বছর
ওসির বিরুদ্ধে কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ - ফরিদপুর সদরে ১১ টি ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে
- বেড়িবাধ থেকে অটোচালকের দগ্ধ লাশ উদ্ধার
- ধর্ষনে অন্তঃসত্তা কাজের বুয়া, ধরে বিয়ে পড়িয়ে দিলেন এলাকাবাসী
- ফরিদপুর পৌর নির্বাচনে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি নায়াব ইউসুফের
- ফরিদপুরে ছাত্রলীগের শীতবস্ত্র বিতরণ
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলো প্রেমিক জুটি
- এসকাভেটর উল্টে পড়লো বিদ্যুতের খুটির ওপর
- চরভদ্রাসনে নিজ বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানের ভাইয়ের লাশ উদ্ধার
- পরকীয়ার টানে ২ সন্তান রেখে পালালেন মহিলা মেম্বার
- সমবায় অফিসার বিরাজ কুন্ডের বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহনসহ নানান অভিযোগ
- সেই বিতর্কিত ওসি আশিকুজ্জামানের বদলি